একটি অসমাপ্ত প্রেমের গল্প

 

একটি অসমাপ্ত প্রেমের গল্প

শুরু টা হয়ে ছিলো ইমু ও গেম থেকে ছেলেটা অনেক গেম খেলতো গেম সম্পর্কে একটু ভালো বুঝতো ৷ ছেলেটা সারা দিন গেম নিয়ে একা একাই বসে থাকতো  ৷ কারো সাথে কথা পর্যন্ত বলতো না ৷ ছেলেটার স্কুল জীবন ছিলো ভারি মজার  সে স্কুলে কম যেতো এবং স্কুলে গেলে একটা থাকতেই পছন্দ করতো ৷

একটি অসমাপ্ত প্রেমের গল্প


 ছেলেটা কোনো মেয়ের চোখে চোখ তুলে তাকাইতো না  ৷ ছেলেটার প্রিয় জিনিস ছিলো সেই গেম ৷ ছেলেটার নাম এই গল্পে হৃদয় বলে ডাকবো ৷ হৃদয় ছিলো একটা গেমার কিন্তু তার জীবনে একটি মেয়ে এসে ছিলো তাকে এই গল্পে মহারাণী বলে ডাকবো ৷ তো হৃদয় ও মহারাণীর পরিচয় টা হয়ে ছিলো এই গেমের মাধ্যমে ৷

 মেয়েটার বন্ধু ও নতুন নতুন গেম খেলতো কিন্তু হৃদয় এর সাথে মেয়েটার বন্ধু ক্লাস ১ থেকে ৫ পর্যন্ত  পড়েছেল৷ পরে মেয়েটার বন্ধু ক্লাস ৬ ভর্তির পরে মেয়েটার সাথে বন্ধুত্ব হলো এবং ক্লাস ৬ থেকে ১২ পর্যন্ত  পড়াশুনা করলো  ৷ কিন্তু হৃদয় ও মহারাণীর পরিচয় হলো ইমুতে করোনার মধ্যে  মেয়েটার বন্ধু করোনার মধ্যে গেম খেলতে লাগলো ।

 গেমের ডাইমন টপআপ  এর জন্য হৃদয় এর কাছে গেলো ডাইমন টপআপ এর জন্যা মেয়েটির বন্ধুর জিমেল আয়ডিটি হৃদয় এর ফোনে লগইন করে ডাইমন টপআপ  করে দিলো কিন্তু জিমেলে সেভ করা ছিলো মেয়েটির নাম্বার ছেলেটি জানতো না ১ দিন পরে সেই মেয়েটি  হৃদয় কে মেসেজ দিলে কে আপনি ।

কিন্তু হৃদয় কারো সাথে তেমন কথা বলতো না একা একা চুপচাপ থাকতো কিন্তু সেই দিন ছেলেটি মেসেজ এর উত্তর করছিলো  তার পরে আস্তে আস্তে হৃদয় ও মহারাণীর পরিচয় হলো  দিনের পরে দিন মাসের পরে মাস এভাবে একটা বছর চলে গেলো কিন্তু ছেলেটি মেয়েটিকে খুবই ভালো বেসে ফেলছে  ৷

কিন্তু ছেলেটি সাহস পেতো না মেয়েটাকে বলতে ছেলেটা নানান ভাবে বুঝানের চেষ্টা করতো ৷ কিন্তু মেয়েটা হৃদয়কে ভালো বন্ধু মনে করতো ৷ তার পরে এক বছর ছয় মাস এর মাথাই মেয়েটার খালাতো ভাই মেয়েটাকে ভুল বুঝলো মেয়েটার নাকি হৃদয় এর সাথে রিলেশন ছিলো  ৷ এইটা তার বাবা মাকে বলে দিলো তার খালাতো  ভাই  কিন্তু এখানে মেয়েটার কোনো দোষ ছিলো না ৷

 মেয়েটাও ছিলো  হৃদয় এর মতো জীবনে কোনো রিলেশন করে নাই তাই মেয়েটাকে হৃদয় অনেক বেশি ভালো বেসে ফেললো ৷ কিন্তু তার খালাতো ভাই মেয়েটার আব্বু আম্মুকে বলে দিবার জন্য মেয়ে টার সাথে হৃদয় এর কোনো যোগাযোগ থাকলো না টানা ৬ থেকে ৭ মাস কিন্তু ২০২২ সালে  হৃদয় ও মেয়েটার এক কলেজ HSC পরিক্ষার সিট বসলো  সেই টাইমে  আবার তাদের দেখা হয়েছিলো ৷

( আর একটা কথা না বললেই নয়  হৃদয় ও মহারাণী ১ বছল ৬ মাস কথা হলেও তাদের সামনাসামনি কেনোদিন দেখা হয় নাই ৷ একটা বার চিন্ত করে দেখু ছেলেটা মেয়েটাকে না দেখেই তার জন্য পাগল হয়ে গেছে  যে ৭ মাস কথা হয় ছিলো তখন ছেলেটা খুবই চিন্তা করতো সময় মতো খেতো না  ) ৷ তার পরে প্রথম  পরিক্ষা দিতে গিয়ে ছেলেটা গাড়ি থেকে নেমেই মেয়েটাকে দেখেই চিনতে পরলো ৷

কিন্তু ছেলেটার বুক ফেটে  গেলো ছেলেটা তার সামনে গেলো না সে একা একা দূরে দূরে থাকতো কিন্তু পরিষ্টা দিয়ে বের হবার সময় মেয়েটা ছেলেটাকে চিনতে পারলো৷ ছেলেটা বুঝতে পেরে জরে জরে চলে গেলো তখন মেয়ে টা ছেলেটার দিকে তাকাই ছিলো ৷ বাসাই এসে সন্ধায় ছেলে টা মেয়েটার কথা ভাবছিলো  সেই সময় ছেলেটার ফেসবুকে ফেন্ড রিকুয়েষ্ট দিলো ৷

তার পরে তাদের কথা হলো মেয়েটা ছেলেটাকে বললো আমার সাছে কথা বললে না কেনো ছেলেটা চুপচাপ ছিলে মেয়ে টা সব বুঝতে পরলো যে ৭ মাস আগের ঘটনার জন্য হৃদয় এমন টা করছে ৷ মেয়েটা ছেলেটাকে সব বুঝাইলো ছেলে টা তো তার পাগল ছিলো ৷

এভাবে তাদের আবার কথা হাওয়া শুরু হলো এভাবে ৪ টা পরিক্ষা শেষ ৫ টার দিন ছেলেটা মেয়েটাকে প্রপোজ করলো মেয়েটা ওতা টা গুরুত্ব দিলো না ৷ মেয়েটা মজা মনে করলো মেয়েটা ছেলেটাকে বললেও আমার সামনে এসে কথা বলবে  ৷ ছেলেটা চকলেট কিনে নিয়ে গিয়ে মেয়েটার হাতে দিলো কিন্ত মেয়েটার সামনে যেতেই ছেলেটার পা কাপছিলো  ৷

মেয়েটার সামনে গেলে  ছেলেটা নারভাস হয়ে যাই  সঠিক ভাবে কথাই বলতে পারে না ৷ আসলে ছেলেটা কারো সাথে তেমন কথা বলতো না৷  সেই মেয়েটাকে ছেলেটা অনেক করে বলতো আমি তেমাকে ভালো বাসি কিন্তু মেয়েটা ভাবতো মজা করছে ৷

এভাবে পরিক্ষা শেষ মেয়েটা এডমিশন এর জন্য শহরে চলে গেলো ৷ (আর একটা কথা না বললেই নয় মেয়েটাও দিন রাত ২৪ ঘন্টার মধ্যে ৭ থেকে ৮ ছেলেটার সাথে চ্যাটিং করতো ) মেয়েটা রাজশাহীতে গিয়ে নতুন নতুন বন্ধু পেলো  ছেলেটাকে সময় কম দিতে শুরু করলো ৷

আর এদিকে ছেলেটা তাকে খুবই ভালো বেসে ফেলছে ছেলেটা অনেক কষ্ট পেতো এভাবে 15 দিন গেলো তার পরে মেয়ে টা হৃদয় এর সাথে ১/২ ঘন্টা ফোনে কথা বলতো ৷ এভাবে আরো 15 দিন গেলো তার পরে ছেলেটা এক দিন মেডিকেল এর গেলো মেডিকেল থেকে তার বাসা ছিলো 1/2 কিলো  ছেলেটা দেখা করতে চাইলো ।

মেয়েটার সাথে তার দেখাও হলো মেয়েটাকে চকলেট কিনে দিলো ৷ আল্প একটু কথা হলো তাদের কিন্তু ছেলেটা এটা নিয়েই অনেক খুশি হলো ৷ সেই দিন মতো ছেলেটা বাড়ি চলে আসলো কিছু দিন এভাবেই কথা চলতে থাকলো ৷ ছেলেটা ভাবতে শুরু করলো মেয়েটা তাকে ভালে বাসে  ৷ যদি ভালোই না বাসতো তাহলে 1/2 ঘন্টা কথা বলতো না ৷

ঠিক কিছু দিন পরে মেয়েটার সাথে দেখা করার জন্যা ছেলেটা আবার শহরে গেলো কিন্তু মেয়ে টা রাজি হলো না ছেলেটা অনেক বার বলাতে মেয়েটা তার নতুন বান্ধবী  দের দিয়ে ছেলেটাকে অপমান করারো ৷ অনেক খারাপ কথা শুনালো ছেলেটা রেগে তার বান্ধবী দের কে গালি দিলো  ৷

তার পরে তাদের কথা বন্ধ  থাকলো টানা 9 মাস  9 মাস পরে হৃদয় ও মেয়ের এটা সমস্যার জন্য ছেলেটা মেয়েকে মসেজ দেয় ৷ কিন্তু ছেলেটা মেয়েকে আপনি করে বলছিলো তার পর থেকে তাদের মধ্যে কথা শুরু হয় ৷

এভাবে 5 থেকে 6  দিন কথা হলো মেয়েটা ছেলেটার কাছ থেকে সব শুনলো মেয়েটা ছেলে টাকা বললো তুমি কি আমাকে সত্যিই ভালো বাসো ছেলেটা কান্না করতে করতে বললো আমার নিদের থেকে বেশি ভালো বাসি তোমাকে মেয়ে টা বললো আমাকে বুঝতে পারিনি তুমি আমাকে এতো টা ভালো বাসো মেসেটা ছেলেটার সাথে অনেক সুন্দর কররে কথা বললো।

(এই দিয়ে মেয়েটা এডমিশন পরিক্ষায় chance পেয়নি) ৷  মেয়েটা ছিলো তার নানি বাড়ি মেয়েটা ছেলে টাকে বলছিলো আমি বাড়িতে যাবো তখন ছেলে টা তাকে বলছিলো দেখা করার কথা মেয়েটা প্রথমে না বলেও সেই দেখা করতে চাইছিলো ৷ বাড়ি আসার দিন ছেলেটা গেছিলো তার সাথে দেখা হলেও কথা হয় নাই  ৷

সে ছিলো অটোতে ছেলেটা অটোর পিছু পিছু আস্তেই মেয়েটার এলাকার এক ভেন চালক দেখে তার আব্বু কে অন্য রকম করে বলে  কিন্তু এখানে মেয়েটার কোনো দোষ ছিলো না এদিকে যে খানে অটো থামছিলো ৷

সেই খান থেকে মেয়েটার বাড়ি 2 কিলোর মাতো  সে  দুপুরে একা একা বাড়ি যেতে দেখে ছেলেটা তার সাথে গেলো তার যেনো কোনো বিপদ না হয় সেই জন্য   সব কিছু দেষ করে 17 দিন কথা চললো তার পরে মেয়ের আব্বু কে সব জানতে পারলো ৷ তার পরে মেয়েটাকে অনেক গালি দিছি অনেক অপমান করছে ৷ কিন্তু সে আমার কোনো দোষ দেয় নি  ৷

তার পরে তার ফোন কেরে নিলো তার আব্বু  আর এদিকে তার বোন তার পাইভেট স্যারকে সে তার মতো করে বললো  আর সেই জন্য তার পাইভেট স্যার আমাকে ডাকলো ডেকে যা না তাই বললো আমার আব্বু তুলে কথা বললো  অনেক বাজে বাজে কথা বললো ৷

কিন্তু আমি সব চুপচাপ শুনলাম আমি যদি কিছু বলি তা হলে এখানে তার নাম উঠে আসবে তার বদনাম হবে তাই সব চুপচাপ সয্য করলাম ৷  তার পরে টানা 26 দিন কথা হলো না তার পরে এক দিন ফেক আয়ডি দিয়ে সে আমাকে মেসেজ দেয় কথা হয় রোজ 3 ঘন্টা 1 ঘন্টা এমন  কথা হতো মেয়েটা সব বলছে আমাকে যে তার ফোন কেরে নিছে  ৷

আমি সব শুনলাম তার পরে তার সাথে দেখা হয় কথা হয় সে আমাকে ভালো বাসে আমি তাকে ছাড়া থাকতে পারিনা তার কথা মনে হলে ধরফর করে উঠে ৷ এভাবে 2 মাস যাই কিন্তু ঝামেলা পিছু ছাড়ে না তার বোন তার কাছে চালে যাই সে যানতে পারলে অনেক সমস্যা হবে  তাই কথা বলা কমাই 5/10 মিনিট হলো ।

কিন্তু তার বোন জানতে পারলো তার মনে তার কাছ থেকে হাত ছাড়া হলো  কিন্তু সে আমাকে খুবই ভালো বাসে সে আমার সাথে কথা বলতে চাচ্ছিলো  সময়  পেলে ফোন দিয়ে কথা হয়তো ৷ কিন্তু এটাও যানতে পারলো  শেষ মেস যোগাযেগ বিছিন্ন হলো  ৷৷৷৷ এই গল্পের সব কথা তুলে ধরতে পারি নাই ৷৷৷ সে এখন কেমন আছে আমার কথা তার মনে হয় না কি কিছুই যানি না ৷৷৷ 

সব শেষে মানসিক রুগী 

(R+R)

একটি অসমাপ্ত প্রেমের গল্প


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url